Friday, January 4, 2019

কবিতা

পবিত্রায় অনুরক্তি
মুহাম্মদ নাজমুল হক

তুমি পবিত্র,
তুমি নিষ্পাপ,
তুমি যখন ঘুমিয়ে যাও গল্প শেষের আগে,
হয়ত তখন বিদ্যুৎ ছিন্ন থাকে,
আর তখন পূর্ব জানালায় আসা ভরা
জোসনা পড়ে তোমার মুখে,
আর তোমার পছন্দ ঘরে
মোমবাতি জ্বালানো।

বাইরের নীলজোসনা আর ঘরের লাল আলোর আলিঙ্গন।
তুমি এও জানোনা, ততক্ষণে
ঘরের গুমট গরমে, তোমার -
দুচোখের নিচে আর কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে,

হয়ত সেখানেই আলিঙ্গনে মেতেছে আলোরা।
তখন আমার ইচ্ছে করে কী জানো?
- ইচ্ছে করে তোমার বানানো শখের হাত পাখার বাতাসে মুছে দি-
 তোমার ঘামগুলো।

কিন্তু আমি তা করিনা, কেন জানো?
কারন, কাল যদি আর এই পবিত্র মুখ না দেখতে পাই।
আমি চাই এ মূহুর্তটা আর না শেষ হোক।
আর একটা কথা বলি, যা আগে তোমায় বলা হয় নি,
এই মুখটাকে  আমি প্রচন্ড ভালবাসি।

তুমি কি এটা জানো -
তোমার মুখে জমা ওই বিন্দু ঘামে যখন -
আলোর প্রতিফলন হয়। - আমি শত রংধনু দেখতে পাই।

অতঃপর, হঠাৎ ঘরে বৈদ্যুতিক আলো জ্বলে ওঠে।
তারপর তোমার কর্নিয়া টা অনিয়ন্ত্রিত নড়ে ওঠে।
তোমার কর্নিয়ায় থাকা পিউপিল গুলো কিছুক্ষনের জন্য সংকুচিত হতে থাকে।

এর কয়েক মূহুর্ত পর ঘুম ভেঙ্গে,
ঘুম জড়ানো স্বরে তুমি বলে যাও -
এই তুমি এখনো ঘুমাওনি,
- আর এভাবে বসে আছো কেন,
আর ওমন ভুতের মত আমার দিকে কি দেখছ?

আর আমি কোন জবাব না দিয়ে, ব্যাস্ত হয়ে পড়ি ঘরে আলো নিভাতে হবে।
অতঃপর তোমার কপাল থেকে চুল হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলি ঘুমাও।

আর তুমি আমার হাতটা তোমার ডান হাতে নিয়ে একটা চুমু খেয়ে বলো -
তুমিও ঘুমাও।

অথচ!  আমি বলতে চেয়েছিলাম -ভালোবাসি তোমায়, প্রচন্ড ভালোবাসি তোমায় পবিত্রা।।

No comments:

Post a Comment